বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

সাইরেন বেজে যাচ্ছে, বিস্ফোরণে দিশেহারা ইসরায়েল

সাইরেন বেজে যাচ্ছে, বিস্ফোরণে দিশেহারা ইসরায়েল
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

ইসরায়েলের আকাশজুড়ে টানা সাইরেন বেজে চলছে, আর একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে থমথমে হয়ে উঠেছে দেশটির মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাতে জানা গেছে, ইরান থেকে ব্যাপক সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।

এই হামলার পর আসদোদ, লাচিস এবং পশ্চিম জেরুজালেম সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলার সতর্কতা হিসেবে সাইরেন চালু করা হয়। এসব এলাকায় একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার খবর নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিছু ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশেই প্রতিহত করলেও, কয়েকটি আঘাত হেনেছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায়—যার ফলে জনমনে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পরপরই একের পর এক বিস্ফোরণ হতে থাকে, এবং মানুষ দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে থাকে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও জরুরি সেবা সংস্থাগুলো পুরো অঞ্চলজুড়ে প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। 

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, জেরুজালেমে সাইরেন বাজা মাত্রই ইসরায়েলি সংসদ (নেসেট)-এর সদস্যরা দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।

ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে সোমবার (২৩ জুন) সাংবাদিকদের রিপোর্ট করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই অনেকে পাশের দেশ জর্ডান থেকে খবর সংগ্রহ করছেন। এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

 এ হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৪৫০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তারা। এর মধ্যে অন্তত ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হেনেছে।

সেখানকার মানুষজন জানিয়েছেন, টানা ৩৫ মিনিট ধরে সাইরেনের আওয়াজ শোনা যায় এবং সেই সঙ্গে প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ।

তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। কারণ, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী কোনো ভিডিও বা তথ্য প্রকাশে কড়া নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাই বাইরের দুনিয়া সঠিকভাবে জানতে পারছে না আসলে কী ঘটছে।

গত ১০ দিনে ইরানের হামলায় ইসরায়েল বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সেন্ট্রাল ইসরায়েলে। তবে হাইফার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরেও বারবার হামলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গতকাল ইরান আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে এক হামলা চালায়। সেই সময় কোনো সাইরেন বাজেনি। পরে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী নিশ্চিত করে যে এটি একটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল—এটি ভুল করে ছোড়া নিজের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না।

১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে একটি বড় ধরনের হামলা চালায়। এতে দেশটির পরমাণু স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মারা যান ৪০০-র বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকও রয়েছেন।

এই হামলার পর ইরান দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় নামে। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’ নামে এক অভিযানের অধীনে ২৩ জুন পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের ওপর ২১ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত।
 


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ