বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
Natun Kagoj

যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ নাকচ করলো ইরান

যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ নাকচ করলো ইরান
গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির পর নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। তারা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইরানের পক্ষ থেকে আর কোনো হামলা চালানো হয়নি। খবর বিবিসি।

সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে টানটান উত্তেজনার পর যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক উদ্যোগে এবং কাতারের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এ অবস্থায় ইসরায়েলের দিকে আবার হামলার গুজব ছড়িয়ে পড়লেও তা ‘অসত্য’ বলে দাবি করছে তেহরান।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের ভাষ্য, “যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ রয়েছে।”

এদিকে ইসরায়েল এখনো এই যুদ্ধবিরতি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে সীমান্ত পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে বলেই জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কিছুক্ষণ পরই ইরানের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা ইরান থেকে উৎক্ষেপণ করা একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে, যা সরাসরি যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গের শামিল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (IDF) তেহরানের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে জবাবি হামলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে ইরান আবারো আগ্রাসী আচরণ দেখিয়েছে। আমরা এই হামলার জবাব দিতেই বাধ্য।”

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা হয়েছে এবং সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় কাজ চলছে। পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে ফের উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যদিও ইরানের পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর কোনো সামরিক অভিযান চালানো হয়নি।


গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ

আরও পড়ুন