রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • বদলে যাবে ঢাবির রূপ, ঢেলে সাজাতে ২৮৪০ কোটি অনুমোদন একনেক থেকে জুলাই শহীদদের আবাসন প্রকল্প বাদ তীর্থযাত্রীদের হুড়োহুড়িতে মানসা দেবী মন্দিরে নিহত ৬ যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং থেকে ২৫ উড়োজাহাজ কিনবে সরকার বিএনপি ভবিষ্যতের রাষ্ট্র গঠনে টেকসই কাঠামোর লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছে: মির্জা ফখরুল গাজার জন্য ১০ ঘণ্টার নীরবতা; মানবতা না কৌশলগত ছলনা? ময়মনসিংহে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা বাতিল : আপিল বিভাগ গোপালগঞ্জে সহিংসতা: প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের যৌক্তিকতা পায়নি পর্যবেক্ষণ দল আ.লীগের প্রধান কার্যালয় এখন 'ফ্যাসিজম ও গণহত্যা গবেষণা ইনস্টিটিউট' চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা বৈষম্যবিরোধী ৫ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা
  • ডিসি অফিস ও কোর্ট চত্বর যেন ময়লার ভাগাড়, ভোগান্তিতে জনসাধারণ

    ডিসি অফিস ও কোর্ট চত্বর যেন ময়লার ভাগাড়, ভোগান্তিতে জনসাধারণ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    মানিকগঞ্জের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ডিসি অফিস ও কোর্ট চত্বরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থান যেন  পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগারে।
     
    সরকারি রেকর্ড রুম ও আইনজীবী ভবনের মধ্যবর্তী স্থানে গড়ে উঠেছে বিশাল আবর্জনার স্তূপ, যার তীব্র দুর্গন্ধে প্রতিদিনই নাকাল হচ্ছেন শত শত মানুষ—আইনজীবী, কর্মকর্তাসহ আদালতগামী সাধারণ জনগণ।

    সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে দেখা যায়, আইনজীবী ভবন-২ এর দক্ষিণ প্রাচীর ও রেকর্ড রুমের পেছনের খালি জায়গা সম্পূর্ণভাবে ময়লায় ঢেকে গেছে। স্থানীয় দোকান ও অফিসগুলো থেকে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে উচ্ছিষ্ট, পলিথিন, কাগজ ও প্লাস্টিকজাত বর্জ্য, যা জমে জমে গড়ে তুলেছে এক ভয়ংকর পরিবেশ দূষণের চিত্র।

    স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দিশারী'র সাধারণ সম্পাদক স্বপন মিয়া বলেন," ডিসি অফিস, কোর্ট চত্ত্বর আর সাথে আমাদের বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের অফিসও এখানে। ঠিক আমাদের অফিসের সামনে এভাবে বছরের পর বছর নোংরা করে রাখছে অথচ দেখার যেন কেউ নেই।"

    সিনিয়র আইনজীবী ও পিপি আ ফ ম নূরতাজ আলম বাহার বলেন, “ডিসি অফিস, আদালত ও রেকর্ড রুম—সবই জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান। অথচ এই জায়গাগুলোর মাঝখানে এত বড় ময়লার স্তূপ পড়ে থাকাটা লজ্জাজনক। এখন ময়লার পরিমাণ এত বেড়ে গেছে যে হাঁটতেই কষ্ট হয়।”

    পৌরসভার টিএলসিসি সদস্য অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন পৌরসভার ট্রাক এলেও এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এই এলাকায় বর্জ্য ফেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত এবং তা বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের দৃঢ় পদক্ষেপ প্রয়োজন।”

    স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষকে বহুবার অবগত করা হলেও মিলছে না কার্যকর কোনো ব্যবস্থা। শুধু দৈনিক ময়লা সরিয়ে নিলেই হবে না, বর্জ্য ফেলার উৎস বন্ধ করতে হবে এবং স্থায়ী ময়লা নিষ্কাশন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।


    দৈএনকে/ জে. আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন