সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ২০০৬ মুম্বাই বিস্ফোরণ: দীর্ঘ ১৯ বছর পর মুক্তি পেলেন ১২ জন উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ১ দশ দিনের মধ্যে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্য, সব দলের সহযোগিতা চাইলেন আলী রীয়াজ ট্রফির পথে বাঁধা শুধু নেপাল, বাংলাদেশের সামনে চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জ উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত জুলাই যোদ্ধাদের জন্য কোটা থাকছে না : মুক্তিযুদ্ধ উপদেষ্টা পাকিস্তানকে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা বাংলাদেশের বিতর্কিত' ৩ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কর্মকতাদের তথ্য চেয়ে ইসির চিঠি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর হঠাৎ অসুস্থতা, খাদ্যে বিষক্রিয়ার সন্দেহ গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতদের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ আদালতের
  • সন্দ্বীপে মালিকানাজনিত জটিলতায় ২৮৪ মহিষ জব্দ, তদন্তে কমিটি গঠন

    সন্দ্বীপে মালিকানাজনিত জটিলতায় ২৮৪ মহিষ জব্দ, তদন্তে কমিটি গঠন
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকায় এক ব্যতিক্রমী ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে ৪ জুলাই সন্ধ্যায়, যখন হঠাৎ করেই ২৮৪টি মহিষ স্থানীয় এলাকায় জড়ো হয়। মহিষগুলোর হঠাৎ আগমনে এবং মালিকানা নিয়ে স্পষ্টতা না থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে নানা গুঞ্জন শুরু হলে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

    ঘটনার পরপরই সন্দ্বীপ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে একজন কর্মকর্তা মনোনীত হয়েছেন। এছাড়া কমিটিতে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরাও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    তদন্ত কমিটির মূল দায়িত্ব হলো —

    মহিষগুলোর প্রকৃত মালিক শনাক্ত করা,

    কীভাবে ও কী উদ্দেশ্যে এতগুলো মহিষ বাংলা বাজার এলাকায় একত্রিত হলো তা অনুসন্ধান করা,

    এবং এ ঘটনার পেছনে কোনো অবৈধ কর্মকাণ্ড রয়েছে কিনা, তা নিরূপণ করা।

    উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “আমরা এই ঘটনাটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আইন লঙ্ঘন করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই আশঙ্কা করছেন, মহিষগুলো চোরাচালানের উদ্দেশ্যে বা অবৈধভাবে আনা হতে পারে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ তাদের মালিকানা দাবি করেনি। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যেই মহিষগুলো আপাতত স্থানীয় একটি খোলা স্থানে রাখা হয়েছে এবং সেগুলোর খাদ্য ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রশাসনের পদক্ষেপ দ্রুত হওয়ায় এলাকায় শৃঙ্খলা বজায় আছে।”

    তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয়রা এখন উদ্বেগ ও কৌতূহলের মধ্যে অপেক্ষা করছেন তদন্তের ফলাফলের জন্য।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন