সোনা, ওয়াইন আর বিলাসিতা—বিশ্বের দামি ৩ আইসক্রিমে যা যা থাকে


আইসক্রিম মানেই ঠান্ডা আর মিষ্টি এক স্বর্গীয় অনুভূতি। তবে কিছু আইসক্রিম শুধু খাবার নয়, একেকটি যেন শিল্পকর্ম—বিলাসিতার শিখরে পৌঁছে দেওয়া স্বাদের জাদু। আপনি যদি খাবারে বিলাসিতা উপভোগ করেন, তবে এই আইসক্রিমগুলো আপনার জন্যই।
বিশ্বের কিছু আইসক্রিম এমনও আছে যেগুলোর দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! সোনা, বিরল উপাদান, এক্সক্লুসিভ পরিবেশন আর বিলাসবহুল অভিজ্ঞতার জন্য এই আইসক্রিমগুলো পেয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি তকমা।
১. বায়াকুয়া, জাপান
জাপানের বিখ্যাত বায়াকুয়া আইসক্রিম বিশ্বের সবচেয়ে দামি আইসক্রিম। যার প্রতি স্কুপের দাম বর্তমানে ৮৭৩,৪০০ জাপানি ইয়েন, ৬ হাজার ৬৯৬ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে বিশবেরর সবচেয়ে দামি আইসক্রিম হিসেবে স্বীকৃতি পায় বায়াকুয়া। এই জাপানি আইসক্রিমে সাদা ট্রাফল এবং ভোজ্য সোনা ব্যবহার করা হয়। এই বিরল আলবিনো হোয়াইট ট্রাফল সংগ্রহ করা হয় ইতালির এলবা অঞ্চল থেকে। এছাড়া এতে আরও দামি উপকরণ সাকা (জাপানি ওয়াইন), পারমেজান চিজ ব্যবহার করা হয়। এটি তৈরি করতে একজন শেফকে বছরের বেশি সময় গবেষণা করতে হয়েছে।
২. ফ্রোজেন হাউট চকলেট, যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল চকলেট আইসক্রিমের মধ্যে এটি অন্যতম। যার প্রতি স্কুপের দাম ২৫ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ টাকা। নিউ ইয়র্কের সেরেনডিপিটি ৩ রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় এই আইসক্রিম। এতে ২৮ প্রকার বিলাসবহুল কোকো বিন ব্যবহার করা হয়। উপরে ছড়ানো থাকে ২৪-ক্যারেট সোনার গুঁড়া। পরিবেশন করা হয় সোনার কাপ ও চামচে, যার নিচে থাকে হীরা বসানো ব্রেসলেট। যা চাইলে ক্রেতা নিয়ে যেতে পারেন আইসক্রিম খাওয়া শেষে।
৩. থ্রি টুইনস আইসক্রিম সানডেপ, যুক্তরাষ্ট্র
এই আইসক্রিম ভ্রমণ ও আইসক্রিমের স্বাদ দেয় একসঙ্গে। গ্রাহককে নিয়ে যাওয়া হয় কিলিমানজারো পর্বতের শিখরে। সেখানেই বিশেষ অর্গানিক উপাদানে তৈরি আইসক্রিম পরিবেশন করা হয়। এতে পরিবেশ রক্ষার বার্তাও যুক্ত, কারণ এর আয় ব্যয় হয় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে। যুক্তরাষ্ট্রে এই আইসক্রিমের দাম ৬০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৭ লাখ টাকা।
দৈএনকে/জে, আ
