ক্ষমতায় গেলে সাকিব নিয়ে নীতিগত অবস্থান জানালেন ফখরুল


পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে এক চমক—গ্যালারিতে হাজির বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশের অন্যতম শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সদস্যকে হঠাৎ মাঠে দেখে আলোচনায় মেতে ওঠে ক্রিকেটভক্তরা।
ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে জাগে প্রশ্ন—হঠাৎ কী কারণে মাঠে এলেন তিনি? সেই কৌতূহলকে কেন্দ্র করেই সাংবাদিকদের দৃষ্টি ঘুরে যায় গ্যালারির ওই দিকে। মির্জা ফখরুলের উপস্থিতি শুধু সাধারণ দর্শকদের নয়, মিডিয়ারও নজর কাড়ে।
জার্নালিস্টদের মধ্যে কেউই সময় নষ্ট করেননি—সরাসরি ছুড়ে দেওয়া হয় প্রশ্ন, যা রাজনীতির চেয়ে বেশি জড়িত ছিল ক্রিকেটের আলোচিত চরিত্র সাকিব আল হাসানকে ঘিরে। সাম্প্রতিক নানা বিতর্কে থাকা এই সাবেক অধিনায়ককে নিয়ে যেভাবে প্রতিদিন আলোচনা জমছে, তাতে মির্জা ফখরুলের দিকেও স্বাভাবিকভাবে ঘুরে যায় আলোর ফোকাস।
মাঠে খেলা যেমন চলেছে উত্তেজনায়, মাঠের বাইরে আলোচনাও কম ছিল না—তাতে রাজনীতি আর ক্রিকেটের মেলবন্ধন যেন এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
তাই ফখরুলকে দেখে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক ভাবনা, বিতর্কিত সাকিবের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানার এই তো মোক্ষম সুযোগ।
মাঠে বসে টাইগারদের জয় উপভোগ করলেন মির্জা ফখরুল
গেল অক্টোবরে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন সাকিব। তাকে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছিল বিসিবিও।
কিন্তু গেল ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এই সংসদ সদস্যের ফেরার খবরে মিরপুরে স্টেডিয়ামের আশপাশে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয় ভ্ক্ত ও বিরোধীরা। শেষ পর্যন্ত সাকিব আর দেশে ফিরতে পারেননি, মাঝপথ থেকে ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে।
এরপর আর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা হয়নি সাকিবের। সম্প্রতি তাকে আবারও জাতীয় ফেরানোর আলোচনা শুরু হলেও কোনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।
কেউ কেউ দাবি করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই কেবল জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন সাকিব। যদি এই সরকার না ফেরায়, তাহলে এই অলরাউন্ডারকে তাকিয়ে পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের দিকে।
সেক্ষেত্রে বিএনপি যদি সরকারে আসে, তাহলে সাকিব ইস্যুতে কী সিদ্ধান্ত নেবে, ফখরুলের কাছে সেটিই জানতে চেয়েছেন টি স্পোর্টসের এক সাংবাদিক।।
প্রশ্নের উত্তরে সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেটা (জাতীয় দলে ফেরা) সাকিবের ফর্মের ওপর নির্ভর করবে। তখন সে ক্রিকেটে থাকবে কি না সেটার ওপর নির্ভর করবে। আমি কখনোই খেলাধুলার মধ্যে রাজনীতিকে আনতে চাইনি এবং বিশ্বাসও করি না। সুতরাং যে যোগ্য সে অবশ্যই আসবে।’
উল্লেখ্য, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি শাসনামলে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিসিবির যে বোর্ড ছিল, তার নির্বাহী সদস্য ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
