বড়পুকুরিয়া খনির আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ১০ দিনের আল্টিমেটাম


দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ২৭৬ জন আউটসোর্সিং কর্মচারী তাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে খনি কর্তৃপক্ষকে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালনের হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির আউটসোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া শ্রমিকদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও পরবর্তীতে তাদের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কর্মরত রাখা হয়। বর্তমানে খনিতে আউটসোর্সিং ভিত্তিতে কাজ করছেন ২৭৬ জন কর্মচারী। অথচ ২০০৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে কোনো কর্মচারীকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়নি, যদিও এই সময়ে কর্মকর্তাদের চারবার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে খনিতে স্থায়ী কর্মকর্তা রয়েছেন ১৫৪ জন, তবে স্থায়ী কর্মচারী মাত্র ২২ জন।
তিনি আরও বলেন, খনির জনবল কাঠামো অনুযায়ী মোট ২,৬৭৪ জন থাকার কথা থাকলেও ২০১৬ সালে তা কমিয়ে ৯১২ জনে নামিয়ে আনা হয়। খনির স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রোফিট বোনাস, ইনসেন্টিভ, ঈদ বোনাস, শিক্ষা সহায়ক ভাতা, লাঞ্চ সাবসিডি, মাইনিং ভাতা সহ নানা সুবিধা পেলেও আউটসোর্সিং কর্মীরা এসব থেকে বঞ্চিত।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, “আমরা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাই আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দাবি না মানলে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কামরুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, মেনহাজুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, হেলাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা খনির প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
