‘পার্ল ইয়াররিং থিওরি’ কেন ভাইরাল টিকটকে? আসলে কী আছে এতে?


সাদা মুক্তার দুল আবার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে—বিশেষ করে শাড়ি ও ব্লেজারের মতো ক্লাসিক পোশাকে। ফ্যাশন বোদ্ধাদের মতে, এটি নারীর রুচি ও ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক।তবে সামাজিক মাধ্যমে, বিশেষ করে টিকটকে ছড়িয়ে পড়েছে একটি অদ্ভুত তত্ত্ব—যেখানে দাবি করা হচ্ছে, এই মুক্তার দুল নাকি নারীদের একাকী করে তুলছে!
টিকটকের ভাইরাল ‘পার্ল ইয়াররিং থিওরি’ বা ‘মুক্তার দুল তত্ত্ব’ বলছে, এই গয়না নারীদের এতটাই পরিপাটি করে তোলে যে সম্ভাব্য সঙ্গীরা ভয় পেয়ে যান। তারা ভাবেন, এই নারী বুঝি খুব ‘হাই-মেইনটেন্যান্স’। তার সাথে সম্পর্ক মানেই ব্যয়ের বাহার।
এই তত্ত্ব মূলত এক তরুণীর ভিডিও থেকে ছড়িয়েছে। যিনি রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘তিনি যখনই মুক্তার দুল পরেন, কোনো ডেটিং অ্যাপে ‘ম্যাচ’ আসে না!’ এরপর থেকে শুরু হয়েছে আলোচনা। কেউ বলছেন, মুক্তা পরা মানেই ‘এক্সপেন্সিভ টেস্ট’। আবার কারও মতে, এতে একটা দূরত্ব তৈরি হয়। অন্যরা ধরে নেন এই নারী সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব উচ্চ প্রত্যাশা রাখেন।
তবে এটিকে একেবারে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ, এটি কোনো মনোবৈজ্ঞানিক গবেষণার ফল নয়। টিকটকেই অনেকে আবার মজার ছলেই নিজেদের মুক্তার কালেকশন দেখিয়ে বলছেন, ‘আমার জীবন, আমার গয়না।’
ফ্যাশন মানেই তো নিজেকে ভালোবাসা। নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দেওয়া। কারো চোখে সেটি ভালো, আবার কারো মন্দ লাগতেই পারে, তাতে কী? ফ্যাশন কখনো অন্যের জন্য নয়, নিজের জন্য। তাই মুক্তার দুল যদি আপনার মনে আনন্দ এনে দেয়, তাহলে পরুন। সেই দুলেই হয়তো একদিন কেউ বলে উঠবে, ‘তোমার স্টাইলটা একদম আলাদা।’
দৈএনকে/জে, আ
