নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানান এই দোয়াটি পড়ে


ইসলামে বিয়ে উত্তম কাজ। ইসলাম বিয়েকে উৎসাহিত করে। সাধারণ অবস্থায় কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকলে, অন্যের হক নষ্ট হওয়া বা হারামে লিপ্ত হওয়ার আশংকা না থাকলে বিয়ে করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেছেন,
النِّكَاحُ مِنْ سُنَّتِي فَمَنْ لَمْ يَعْمَلْ بِسُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي وَتَزَوَّجُوا فَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمْ الْأُمَمَ وَمَنْ كَانَ ذَا طَوْلٍ فَلْيَنْكِحْ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَعَلَيْهِ بِالصِّيَامِ فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ
বিয়ে করা আমার সুন্নত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নত মোতাবেক কাজ করলো না সে আমার নয়। তোমরা বিয়ে করো, আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য উম্মাতের সামনে গর্ব করবো। যার সামর্থ্য আছে সে যেন বিয়ে করে এবং যার সামর্থ্য নেই সে যেন রোজা রাখে। কারণ রোজা তার জন্য জৈবিক উত্তেজনা প্রশমনকারী। (সুনানে ইবনে মাজা: ২৩৮৩)
কেউ যখন বিয়ে করে, তখন তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দোয়া করা সুন্নত। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কেউ বিয়ে করলে এই দোয়া পড়ে শুভেচ্ছা জানাতেন,
بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ
- উচ্চারণ: বারাকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা ওয়া জামাআ বাইনাকুমা ফি খাইরিন।
অর্থ: আল্লাহ তোমার জন্য (এই বিয়েকে) বরকতপূর্ণ করুন, তোমার ওপর বরকত বর্ষণ করুন এবং তোমাদের উভয়কে কল্যাণের সঙ্গে মিলিত রাখুন। (সুনানে তিরিমিজি: ১০৯১)
নবিজিকে (সা.) অনসুরণ করেও আমরাও নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানানোর সময় এ দোয়াটি পড়তে পারি।
বিয়ে করা যে অবস্থায় ওয়াজিব
সাধারণ অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নত যেমন ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বিয়ে করার সুযোগ বা সামর্থ্য আছে এমন কেউ যদি বিয়ে না করলে গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশংকা করে, তাহলে তার ওপর বিয়ে করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
কুরতুবি (রহ.) বলেন, যে সক্ষম ব্যক্তি অবিবাহিত থাকলে গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশংকা করে এবং এই আশংকা বিয়ে ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে দূরীভূত হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে তার ওপর বিয়ে করা আবশ্যক; এতে কোনো মতভেদ নেই।
বিয়ে না করার কারণে কেউ যদি হারাম দৃষ্টি, স্পর্শ বা চুমো খাওয়ার মাধ্যমে পাপে জড়িয়ে পড়ে, তার ওপর বিয়ে করা ওয়াজিব। যদি কোনো পুরুষ বা নারী প্রবল আশংকা বোধ করে যে বিয়ে না করলে সে ব্যভিচারের মতো হারাম কাজে লিপ্ত হবে, তার জন্য বিয়ে করা ওয়াজিব। কেউ যদি মনে করে, যে গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশংকা সে করছে, বিয়ে করলেও তা পুরোপুরি কাটবে না, তবুও গুনাহের সম্ভাবনা কমানোর জন্য বিয়ে করা তার ওপর ওয়াজিব।
বিয়ে করার সামর্থ্য না থাকলে নিজেকে সংযত রেখে সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টা করবে, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাকে অভাবমুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ বলেন,
وَ لۡیَسۡتَعۡفِفِ الَّذِیۡنَ لَا یَجِدُوۡنَ نِکَاحًا حَتّٰی یُغۡنِیَهُمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ
আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত না করা পর্যন্ত তারা যেন সংযম অবলম্বন করে। (সুরা নুর: ৩৩)
দৈএনকে/জে, আ
