শাফিন আহমেদ: না-ফেরার দেশে এক বছর


দেখতে দেখতে চলে গেল এক বছর, অথচ শাফিন আহমেদের অনুপস্থিতি আজও বিশ্বাস করা কঠিন। দেশের ব্যান্ড সংগীতের অমর এই নক্ষত্রের চলে যাওয়ার বেদনা এখনো গুঞ্জরিত হয় সঙ্গীতপ্রেমীদের হৃদয়ে। আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার পরিবার, সহকর্মী ও অসংখ্য ভক্ত গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় তাকে স্মরণ করছে।
শাফিনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে বড় কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়, ঘরোয়া আয়োজনে, নিজেদের মতো করে পালন করতে চান—এমনটাই জানা যায় সংগীতশিল্পীর পারিবারিক সূত্র থেকে।
উল্লেখ্য, কনসার্ট করতে গত বছরের জুলাইয়ের ৯ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন শাফিন। সেখানে একটি কনসার্টে গানও করেন। ২০ জুলাই ভার্জিনিয়ায় আরেকটি কনসার্টে পরিবেশনার কথা ছিল শাফিনের। কিন্তু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চার দিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে; কিন্তু জীবনে ফেরানো যায়নি। কফিনবন্দি হয়ে শাফিন দেশে ফেরেন ২৯ জুলাইয়ে। পরদিন ৩০ জুলাই বনানী কবরস্থানে শায়িত হন শাফিন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই ব্যান্ড সংগীতশিল্পীর জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সময় পাশ্চাত্য সংগীতের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। পরে দেশে ফিরে তিনি, তার বড় ভাই হামিন আহমেদ মিলে গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল ‘মাইলস’, যা গত ৪৫ বছর ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ডগুলোর একটি হয়ে আছে।
তিনি দীর্ঘদিন মাইলসের ভোকাল ছিলেন। শাফিন আহমেদ একই সঙ্গে ব্যান্ডের বেজ গিটারও বাজাতেন। এ ছাড়া ব্যান্ডটির বহু জনপ্রিয় গানের গীতিকার ও সুরকারও ছিলেন তিনি।
শাফিন আহমেদের কণ্ঠে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘জ্বালা জ্বালা’ ‘চাঁদ তারা সূর্য’, 'নীলা', ‘প্রথম প্রেমের মতো’, ‘পিয়াসী মন’, ‘পাথুরে নদীর জলে’, ‘আজ জন্মদিন তোমার’সহ আরও অনেক গান ।
দৈএনকে/জে, আ
