শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • নতুন সংবিধানে অবশ্যই জুলাই সনদ সংযুক্ত করতে হবে: নাহিদ ইসলাম সরকারি চাকরি অধ্যাদেশে বড় পরিবর্তন: অপসারণ নয়, বাধ্যতামূলক অবসর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২০৪, কেউ মারা যাননি ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস, বড় জয় ট্রাম্পের অতীতে সনাতনধর্মালম্বী ভাইবোনেরা অনেক নির্যাতিত হয়েছে, কোন বিচার পায়নি : নাহিদ ইসলাম ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে সিমন্স, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে থাকছেন না এখন দেশের এই পরিস্থিতিতে কিসের নির্বাচন? - ডা. শফিকুর রহমান কুমিল্লার মিষ্টি মারিয়ার বিতর্কিত উত্থান: কোটি টাকার সম্পদের মালিক! এক লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগে আবেদন প্রক্রিয়া ফের শুরু
  • রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ৮টি ঘরোয়া মসলা

    রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ৮টি ঘরোয়া মসলা
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ ও ইনসুলিন নিলে চলবে না তার জন্য প্রয়োজন নিয়মমাফিক খাদ্যাভাস গড়ে তোলা। প্রতিদিনের জীবনযাত্রা ও খাওয়ার ওপর প্রায় ৮০ শতাংশ নির্ভর করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ। তার সঙ্গে মেডিটেশন, ব্যায়াম করলে আরো উপকারিতা পাওয়া যায়। এমনকি রান্নার কিছু মসলাও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

    দেখে নিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার মসলাগুলো সম্পর্কে-

    ১. দারুচিনি: দারুচিনিতে একাধিক থেরাপিউটিক উপাদান থাকায় এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩-৬ গ্রাম দারুচিনি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। দারুচিনি ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।

    ২. হলুদ : হলুদের হাজার গুণাগুণ রয়েছে। কাটা, ক্ষত ভালো করার পাশাপাশি হলুদ অ্যান্টি ডায়াবেটিস হিসেবে কাজ করে। এটি ডায়াবেটিস বাড়তে দেয় না, বিটা-কোষের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং তাদের মৃত্যু রোধ করে। হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান হৃদরোগ ও কিডনিজনিত জটিলতা কমায়।  

    ৩. মেথি : ডায়াবেটিস হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। মেথি শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৩ বছর ধরে টানা মেথি খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।

    ৪. লাল মরিচ : লাল মরিচে থাকা ক্যাপসাইকিন উপাদান অ্যান্টি-ডায়াবেটিক হিসেবে কাজ করে। ডায়াবেটিসের কারণে যেসব সমস্যা দেখা দেয় যেমন-স্থূলতা, পেটের নীচে যন্ত্রণা সেসব রোধ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্যাপসাইকিন ইনসুলিনের উৎপাদন এবং বিপাকে সাহায্য করতে পারে। এ ইনসুলিন একটি হরমোন যা শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে।

    ৫. তেজপাতা : টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তেজপাতা। প্রতিদিন ১-৩ গ্রাম তেজপাতা খেলে ডায়াবেটিস জনিত জটিলতা যেমন- হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের কার্যকারিতা উন্নত করতেও সহায়তা করে।

    ৬. এলাচ : এলাচে থাকে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইপোলিপিডেমিক উপাদান, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে। এটি এনার্জি, কোষের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং ইনসুলিনকে যথাযথভাবে মুক্তি দিতে পারে।

    ৭. লবঙ্গ : অতিরিক্ত গ্লুকোজ সংরক্ষণ করে গ্লুকোজ স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে লবঙ্গ। গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গে গ্যালিক অ্যাসিড, কেটেকিন এবং কোরেসেটিনের মতো পলিফেনল থাকে যেগুলি লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং লিভারের গ্লাইকোজেনকে গ্লুকোজে রূপান্তর করতে সহায়তা করে, যা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে।

    ৮. জিরা : ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড গ্লুকোজ, বডি ফ্যাট, লেপটিনের মাত্রা কম করে জিরা। এগুলো কমে গেলে ইনসুলিন প্রতিরোধ বাড়ায় এবং ডায়াবেটিসের জটিলতা হ্রাস হয়। 


    দৈএনকে/ জে. আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন