যে উপায়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারে বাংলাদেশের মেয়েরা


দুইবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার অবহেলিত ছিল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। ২০২২ সালে সাফ জয়ের পর অর্থাভাবে অলিম্পিক কোয়ালিফায়ার্সে মিয়ানমারে পাঠানো হয়নি দলকে। তবে ২০২৪ সালে আবারো সাফ জিতে ইতিহাস গড়ে ঋতুপর্ণা-আফিয়ারা।
এই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। বাছাইপর্বে ‘সি’ গ্রুপে র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করে লাল-সবুজের মেয়েরা।
১৯৭৫ সালে যাত্রা শুরু করা নারী এশিয়ান কাপে এবারই প্রথমবার খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের ১ থেকে ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, গোল্ড কোস্ট ও পার্থে।
এখন পর্যন্ত স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে চূড়ান্ত পর্বে। বাকি আটটি দল বাছাইপর্ব থেকে আসবে। চূড়ান্ত পর্বে ১২টি দল তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে।
প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল ও সেরা দুটি তৃতীয় দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। এখান থেকেই শুরু হবে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপের টিকিটের লড়াই, যা অনুষ্ঠিত হবে ব্রাজিলে।
-
সেমিফাইনালে উঠলে সরাসরি বিশ্বকাপে
-
কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গেলে প্লে-ইন ম্যাচ
-
সেখান থেকে জয়ী হলে বিশ্বকাপে, পরাজিত দল আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে সুযোগ পাবে
এছাড়াও, কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেই ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। সেই বাছাই থেকে দুই দল যাবে অলিম্পিকের মূল পর্বে।
এদিকে, টানা দ্বিতীয়বার সাফ জয়ের পর বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল দেড় কোটি টাকার বোনাস ঘোষণা করলেও সাত মাস পার হয়ে গেলেও সেই অর্থ এখনও হাতে পায়নি খেলোয়াড়রা।
বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, “মেয়েদের পাওনাদি দ্রুত পরিশোধের বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করব। তারা নতুন ইতিহাস গড়েছে, এজন্য তাদের জন্য কিছু করা যায় কি না, তা নিয়েও ভাবছি।”
আগামীকাল তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। দলটি আগামী ৭ জুলাই দেশে ফিরবে।
এন কে/বিএইচ
