মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, সাগরিকার চার গোলের প্রতিশোধ বিমান বিধ্বস্ত: নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধানে জরুরি যোগাযোগ নম্বর চলতি সপ্তাহে শেষ হতে পারে সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের কাজ দুর্নীতি-অনিয়মে ডুবেছেন গণপূর্তের প্রকৌশলী ময়নুল যারা নির্বাচন চায় না তাদের রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন নেই: আমীর খসরু ৬ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৬৪ জন: আইএসপিআর মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত, হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক ও সমবেদনা বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে দাঁড়াল ১৯ জনে উত্তরায় স্কুল ভবনে বিমান বিধ্বস্ত, মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা বিমান বিধ্বস্তের সময় ক্লাস চলছিল জুনিয়র শিক্ষার্থীদের
  • হলিউড তারকা হওয়ার আগে মুরগি ছিলেন ব্র্যাড পিট!

    হলিউড তারকা হওয়ার আগে মুরগি ছিলেন ব্র্যাড পিট!
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সাফল্যের পেছনে থাকে অজানা অধ্যায়। নজরুল ইসলাম একসময় কাজ করতেন রুটির দোকানে। অন্যদিকে, খ্যাতির আগে হলিউড অভিনেতা ব্র্যাড পিট রেঁস্তোরায় কাজ করতেন—এই তথ্য অনেকেরই অজানা।

    চলচ্চিত্র জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে নানা রকম পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন ‘বাবেল’খ্যাত এই তারকা। কখনও তিনি লিমোজিন চালাতেন, কখনও-বা বাসাবাড়ির ফার্নিচার স্থানান্তরেরও কাজ করেছেন। তবে তাঁর ক্যারিয়ারে ব্যতিক্রমী একটি চাকরি ছিল ফাস্ট ফুড রেঁস্তোরায় কাজ করা! যেখানে তিনি দৈত্যকার মুরগির মতো পোশাক পরে ‌‘মাস্কট’ হিসেবে আবির্ভূত হতেন। অর্থাৎ, মুরগি সেজে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করতেন। জীবনের তাগিদে সেময় সংগ্রামমুখর এক জীবন কাটিয়েছেন তিনি।

    স্কুলজীবনে খেলাধুলা, বিতর্ক আর সংগীতের প্রতি বেশ আগ্রহী ছিলেন ব্র্যাড পিট। তারপর ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরিতে তিনি সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। সেখানে টুকটাক মঞ্চে অভিনয় করতেন। তবে স্নাতক শেষ করার আগেই অভিনয়ের উদ্দেশে ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি দেন। সেখানে নিজের খরচ যোগাতে তাঁকে নানা রকম কাজ করতে হয়।

    ২০১৯ সালে ‘দ্য এলেন ডিজেনার্স শো’-এ হাজির হয়ে সেসব দিনের স্মৃতিচারণ করেছেন এই তারকা। একসময় রেঁস্তোরায় কাজ করার ব্যাপারে তাঁর বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই বলেও জানান। অস্কারজয়ী এই অভিনেতার ভাষ্য, ‘মানুষের তো খেয়ে বাঁচতে হবে।’

    যদিও মাস্কট সাজার জন্য তখন কত টাকা পেতেন, সেই কথা এখন আর ব্র্যাড পিটের স্মরণে নেই। সবাইকে কোথাও না কোথাও হতে শুরু করতে হয়। ভাগ্য আর অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে মানুষ কী অর্জন করতে পারেন, ব্র্যাড পিট যেন তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

    শুরুর দিকে টেলিভিশন সিরিজে ছোট-ছোট চরিত্রে কাজ করতেন ব্র্যাড পিট। আশির দশক পর্যন্ত এভাবেই কেটেছে। তবে স্বপ্ন পূরণের পথে কখনও থেমে যাননি তিনি। ১৯৯১ সালে ‘থেলমা অ্যান্ড লুইস’ নামের একটি টেলিভিশন সিরিজে দর্শকের নজর কাড়েন, যা তাঁকে ‘জনি সুয়েড (১৯৯১)’ ও ‘কুল ওয়ার্ল্ড (১৯৯২)’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ করে দিয়েছিল। যদিও ছবি দুটি দর্শকমহলে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হয়।

    অবশেষে ‘আ রিভার রানস থ্রু ইট (১৯৯২)’ ছবিতে অভিনয় তাঁর ক্যারিয়ারে মোড় ঘুরিয়ে দেয়। তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ‘ফাইট ক্লাব’, ‘ট্রয়’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’, ‌‘টুয়েলভ ইয়ার্স আ স্লেভ’, ‘উল্ফস’, ‘দ্য ট্রি অব লাইফ’, ‘ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস’র মতো কালজয়ী সিনেমা।


    দৈএনকে/জে, আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন