বাংলাদেশকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় ১৯ হাজার কিট উপহার চীনের


বাংলাদেশে ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সহায়তার অংশ হিসেবে ১৯ হাজার রোগ শনাক্তকারী কিট দিয়েছে চীন সরকার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চীন থেকে আসা এই কিটগুলো শুধু ডেঙ্গু নয়, চিকুনগুনিয়াও সনাক্ত করতে সক্ষম। ফলে রোগ নির্ণয়ে বাড়তি কার্যকারিতা নিশ্চিত হবে।
চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার অংশ হিসেবে।
স্বাস্থ্য খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কিট ব্যবহারে দ্রুত রোগ শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায়ও গতি আসবে এবং মৃত্যুহার কমানো সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে (ডিজিএইচএস) এক অনুষ্ঠানে ঢাকার চীনা দূতাবাস এই উপকরণ হস্তান্তর করে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের কাছে ১৯ হাজার কিট তুলে দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. লিউ ইউইন। এই সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, চীনের কাছে গবেষণা সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কারণ, তারা গবেষণায় অনেক ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের কাছে কিট ছাড়াও কারিগরি ডিভাইস চাওয়া হয়েছে। চীনের কারিগরি ডিভাইসগুলো আসল রোগ শনাক্ত করতে পারে।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. লিউ ইউইন বলেন, বাংলাদেশ চীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। অন্য খাতের মতো স্বাস্থ্য খাতে চীন সহায়তা অবাহত রাখবে। প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের পর দুই দেশের সম্পর্ক আরো এগিয়ে গেছে। আগামীতে চীন বাংলাদেশকে আরো বেশি গুরুত্ব দেবে। এরইমধ্যে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের রোগী কুনমিং শহরে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন। চীন বাংলাদেশে একটি হাসপাতাল করতে চায়। এটির কাজও এগিয়ে চলছে।
