শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • নতুন সংবিধানে অবশ্যই জুলাই সনদ সংযুক্ত করতে হবে: নাহিদ ইসলাম সরকারি চাকরি অধ্যাদেশে বড় পরিবর্তন: অপসারণ নয়, বাধ্যতামূলক অবসর খুলনার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২০৪, কেউ মারা যাননি ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ পাস, বড় জয় ট্রাম্পের অতীতে সনাতনধর্মালম্বী ভাইবোনেরা অনেক নির্যাতিত হয়েছে, কোন বিচার পায়নি : নাহিদ ইসলাম ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে সিমন্স, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে থাকছেন না এখন দেশের এই পরিস্থিতিতে কিসের নির্বাচন? - ডা. শফিকুর রহমান কুমিল্লার মিষ্টি মারিয়ার বিতর্কিত উত্থান: কোটি টাকার সম্পদের মালিক! এক লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগে আবেদন প্রক্রিয়া ফের শুরু
  • হিমাচল প্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টি, প্রাণহানি ৩০, জরুরি সতর্কতা জারি

    হিমাচল প্রদেশে মুষলধারে বৃষ্টি, প্রাণহানি ৩০, জরুরি সতর্কতা জারি
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ভারতের হিমাচল প্রদেশে কয়েকদিন ধরে চলমান ভারী বর্ষণে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব বিভাগের বিশেষ সচিব ডিসি রানা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এই দুর্যোগে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩৪ জন।

    গত ১৯ জুন থেকে রাজ্যজুড়ে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই অবিরাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে সৃষ্ট ভূমিধস, পাহাড়ি ঢল ও আকস্মিক বন্যা বহু অঞ্চলে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে মান্ডি, কুলু ও শিমলা—এই তিনটি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মান্ডি জেলাতেই একদিনে মারা গেছেন ১০ জন।

    এদিকে, রাজ্যজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিন আরও ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

    উদ্ধার ও সহায়তা কার্যক্রম চালাতে NDRF, SDRF ও সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে শতাধিক সড়ক ও বেশ কয়েকটি রেললাইন। পর্যটকদের জন্য হিমাচলের অধিকাংশ এলাকায় যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার জরুরি ত্রাণ সহায়তা ও অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র চালু করেছে।

    হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু এক বিবৃতিতে বলেন, “এই দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের পাশে সরকার আছে। সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে উদ্ধারকাজ চলছে।”

    তিনি বলেন, ২৯ এবং ৩০ জুন পুরো অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। অনেক জায়গায় হঠাৎ ভারী বর্ষণ এবং ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    আরও পড়ুন